4অক্টোবর ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস। ডাউন সিনড্রোম বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নবমবারের মত উদযাপিত হলো ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস। উল্লেখ্য যে,ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশে এর উদ্যোগে ২০১৬ সাল থেকে অক্টোবর ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস উদযাপিত হয়ে আসছে। এ বছর সচেতনতা মাসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে #End The Stereotypes । সমাজের সর্বস্তরে সুবিধা বঞ্চিত ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুরক্ষা প্রতিষ্ঠাই এবারের সচেতনতা মাসের মূল লক্ষ্য।
দেশব্যাপী সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমডা বাংলাদেশ ও ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে অদ্য ২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ঢাকার বনশ্রীতে সচেতনতা মাসের মূল উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহায়তায় ছিলেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
দিনের শুরুতে বনশ্রী এলাকায় একটি বর্নাঢ্য র্যালী বের হয়। র্যালীতে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, কিশোর, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সরকারী বেসরকারি প্রতিনিধি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ মিডিয়া ব্যক্তিগণ অংশগ্রহণ করেন।
র্যালী শেষে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। আলোচনা সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘‘ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা”।
আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আমডা বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক জনাব সরদার এ রাজ্জাক। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন œশিশু ও ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের উপর জোর দেন। তিনি আরও বলেন, সমতার বাংলাদেশ ক্যাম্পেইন-এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর কন্ঠস্বর আরও জোরালো করার অনন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আমডা বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট ও জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা: সরদার এ নাঈম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খিলগাঁও আঞ্চলিক কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা জনাব শাহীনা আক্তার সুইটি, সাইটসেভার্স বাংলাদেশের ক্যাম্পেইন অ্যাডভাইজার অয়ন দেবনাথ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রথিতযশা ব্যক্তিবর্গ।
উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচনা সভার পাশাপাশি ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের ভাষা ও যোগাযোগের দক্ষতা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন করা হয়। প্রধান অতিথির ভাষনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ, ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের দক্ষতা উন্নয়ন ও তাদের সামাজিকভাবে পুনর্বাসনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।